• Uncategorized

    সলঙ্গা থানার মানবতার কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ শাহ আলম

      প্রতিনিধি ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৪:০১:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    তুষার তালুকদারঃ
    সলঙ্গা থানার গর্ব,সদাহাস্যজ্জ্বল, সাদা মনের আলোকিত মানুষ, জাতি গড়ার কারিগর ও মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শাহ আলম স্যার।

    শাহ আলম স্যার ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা সদরের মধ্যপাড়া ভরমোহনী গ্রামে মরহুম ছলিমুদ্দিন মোল্লা ও মরহুমা মোকছেদান বেগমের এক স্নেহময় পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।

    সলঙ্গা থানার বড় গোঁজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষার পর ১৯৯৫ সালে সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৭ সালে সলঙ্গা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ২০০০ সালে একই কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবনের মাঝেই ১৯৯২ সালে সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজসেবার পথচলা শুরু করেন, যা অব্যাহত থাকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ারে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে ২০১২ সাল থেকে তিনি জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত রয়েছেন। যেখানে তিনি সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

    ছাত্রজীবন থেকেই শাহ আলম স্যার ছিলেন মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যেন তার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সমাজের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর সহায়তায় তিনি সর্বদা এগিয়ে আসেন।সলঙ্গা থানার ইতিহাস-ঐতিহ্য,শিক্ষা-সাহিত্য,সংস্কৃতি ও মানবিক কর্মকান্ডের উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালে তিনি “প্রিয় সলঙ্গার গল্প” নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন, যা দ্রুতই সলঙ্গার ইতিহাস-ঐতিহ্য,শিক্ষা-সাহিত্য ও মানবিক কর্মকাণ্ডের এক অনন্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এখানে একদল উদ্যমী তরুণ যুবক তাঁর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

    শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি মানবসেবাকেও জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন শিক্ষক শাহ আলম। তিনি শুধু একজন দক্ষ শিক্ষকই নন, সমাজের অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য একজন প্রকৃত সহায়ক হিসেবে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।

    অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখলে তিনি নীরব দর্শক হয়ে থাকেন না। নিজের সংগঠন ” প্রিয় সলঙ্গার গল্প ” মাধ্যমে সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়ান। অন্ন-বস্ত্রের ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষকে দোকান করে দেওয়া, অসহায় মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েলের ব্যবস্থা, এমনকি রোগীদের রক্তের ব্যবস্থা করাসহ সব ক্ষেত্রেই তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

    শাহ আলম স্যার শুধু নিজে কাজ করেই থেমে যান না, সমাজের অন্যদেরও ভালো কাজে উৎসাহিত করেন। কাউকে কখনো নিরুৎসাহিত না করে সবসময় মানুষকে অনুপ্রাণিত করা তাঁর স্বভাব।

    শিক্ষক শাহ আলমের এই মানবসেবামূলক উদ্যোগ ইতোমধ্যেই সমাজে দৃষ্টি কেড়েছে। অনেকেই তাকে অনুসরণ করে সমাজসেবায় এগিয়ে আসছেন।

    শাহ আলম স্যারের স্বপ্ন- মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখেন, ততদিন সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় প্রিয় সলঙ্গার গল্প’র মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কষ্ট লাঘব করে মুখে হাসি ফুটানো এবং সলঙ্গাকে ভালোবাসা,মানবিকতায় ও উন্নয়নে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া।



    আরও খবর

    Sponsered content